FOYSOL MAHMUD's Reviews > Understanding Power: The Indispensable Chomsky
Understanding Power: The Indispensable Chomsky
by
by
![85498920](https://cdn.statically.io/img/images.gr-assets.com/users/1564077827p2/85498920.jpg)
এই বছর ডিসেম্বরের ৭ তারিখে নোয়াম চমস্কি পালন করেছেন তার ৯২তম জন্মবার্ষিকি। বলা হয়ে থাকে তিনি বর্তমান বিশ্বের জীবিত মোস্ট সাইটেড স্কলার। অনেকের মতে তিনি হচ্ছেন, “the most important intellectual alive”। তিনি Massachusetts Institute of Technology-এর একজন Institute Professor Emeritus, কাজ করেন ভাষাতত্ত্ব, বিশ্লেষণমূলক দর্শন, কগনিটিভ সাইন্স ও রাজনীতি নিয়ে। চমস্কি ১৫০ এর উপরে লিখেছেন বই, দিয়েছেন শতশত পাবলিক স্পিচ, ১৬০ এর উপরে মুভি, টিভি সিরিজ ও ডকুমেন্টারিতে রয়েছে তার উপস্থিতি। তবে ��ার সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তিনি আমেরিকান পররাষ্ট্র নীতি, পুঁজিবাদ এবং মেইন্সট্রিম মিডিয়ার একজন বিশ্ববিখ্যাত সমালোচক।
তার “Understanding Power” বইটা পড়লাম, ২০০১ সালে প্রকাশিত ৪১৬ পৃষ্টার এই বইটি বিভিন্ন টকশোতে দেয়া তার বক্তব্যের একটি সংকলন। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয়টি হলো, এই বইতে তিনি বলেছেন পাবলিক স্পিকিং ও টকশোর জন্য তার স্কেজিউল আগামী দুই বছরের জন্য বুকড। সেই সঙ্গে বুঝতে পারলাম কেন এই ব্যাক্তি আমেরিকায় বসবাস করে একসময় আমেরিকার মতো শক্তিশালী একটি দেশের প্রেসিডেন্টের এনিমিলিস্টের উপরের দিকে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
যাই হোক, বইয়ের শুরুতেই চমস্কি সমালোচনা করেছেন গনতন্ত্রের নামে আমেরিকার আগ্রাসনকে এবং মার্কিন মূলুকের মানুষদের বোকা বানিয়ে রাখা (তার মতে) মেইন্সট্রিম মিডিয়াকে। তিনি বলেছেন, সাধারনত যেকোন দেশ, জাতি বা গোত্র কোন অসৎ উদ্দ্যেশ্য সাধনের জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসীর কোন একক ব্যাক্তি বা দলকে ভাড়া করে কিন্তু আমরা এতই বিত্তশালী যে আমরা এইসব কাজের জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে (তিনি ইসরাইল কে ইঙ্গিত করেছেন) ব্যাবহার করি। এক মহিলা রিপোর্টার চমস্কিকে প্রশ্ন করেছিলেন সত্য প্রকাশে মিডিয়ার কাছে আদর্শগত বাধা কোন জায়গায়? এর জবাবে তিনি বলেন, আমি Boston Globe-এর এডিটরকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনারা ইসরাইল/ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বকে এত খারাপ ভাবে উপস্থাপন করেন কেন? উত্তরে ঐ এডিটর হাসলেন এবং বললেন, আমরা এটা করি কারন আমাদের কোন আরব এডভারটাইজার নাই।
চমস্কির মতে বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিসরে মানুষকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দুইটা জিনিস নিয়ে ভাবা উচিত তা হলো, এক. আন্তর্জাতিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দুই. পরিবেশের উপর হুমকি। পুঁজিবাদ যেভাবে কাজ করে সেটা একটা সেলফ ডেস্ট্রাকশান মেথড। এই সিস্টেমের প্রকৃতি হ'ল লোভ দ্বারা চালিত হওয়া; কারও পক্ষে কারও জন্যই উদ্বিগ্ন হওয়ার কি���ু নেই। পুঁজিবাদের চিন্তা ভাবনা হচ্ছে “Maximizing sort-term profit without concern for the long-term effect”, যেখানে প্রত্যেকটা এনটিটি হচ্ছে একেকটা লিথাল ওয়েপন। তাই আর যাইহোক পুজিবাদ দিয়ে পরিবেশকে বাচানো সম্ভব না। পরিবেশকে বাচানোর একটাই উপায় আর তা হলো সম্মিলিত সামাজিক পরিকল্পনা।
তাকে প্রশ্ন করা হয় এই যুদ্ধাস্ত্র প্রতিযোগিতার উদ্দ্যেশ্য কি? তিনি বলেন মনে রাখবেন একটি দেশের প্রাথমিক শত্রু হচ্ছে তার নিজের জনগন। যদি একবার আপনার নিজের দেশের মধ্যে পলিটিক্স ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এটি একটি ম্যাসাকারে রূপ নিবে এবং জনগনকে বাধ্য রাখার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো International Conflict, যার মাধ্যমে জনগন ভয়ে তটস্থ থাকবে ও নিজের অধিকার ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। এই যুদ্ধাস্ত্র প্রতিযোগিতা একটি দেশের অর্থনীতিকে সঠিক ভাবে চালানোর জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এই অসম প্রতিযোগিতার কারনেই হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে ভর্তুকি প্রদান সম্ভব হয়। যেমন, কোন পলটিশিয়ান যদি বলেন, আগামী বছর থেকে আপনারা বেশি ট্যাক্স পে করবেন যাতে আমরা IBM-কে একটি পঞ্চমপ্রজন্মের কম্পিউটার ও NASA-কে মঙ্গল অভিজানের জন্য ভর্তুকি দিতে পারি। দেশের কোন নাগরিকই এর সাথে একমত হবে না। কিন্তু আপনি যদি এইখানে International threat-কে নিয়ে আসেন তবে দেশের নাগরিকেরা তা মানতে বাধ্য।
আমি “Free Market”-এর একজন সাপোর্টার কিন্তু চমস্কি এই Free Market সম্পর্কে আমার ধারনা পালটে দিয়েছেন। তার মতে এটি আমেরিকার সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র, কারণ এটি সামাজিক ব্যয়ের বিরুদ্ধে একটি যুক্তি, এবং এটি বিদেশের দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র, কারণ আমরা অন্য দেশকে বলতে পারি "তোমাদের আমাদের প্রদান করা বিধিগুলি মেনে চলতে হবে," এবং যখনই তারা তা মানতে শুরু করে আমরা তাদের লুঠ করতে শুরু করি। চমস্কি উদাহরন দিয়েছেন ঢাকা কে —রবার্ট ক্লাইভ যখন ঢাকায় আসেন, তিনি ঢাকাকে তুলনা করেন “the Manchester of India” হিসেবে। কারন তখন ঢাকা ছিল ধনসম্পদে পরিপূর্ণ, লোকে লোকারণ্য। ঢাকায় তুলা চাষ হতো, ছিল তখনকার সময়ের অত্যাধুনিক ইন্ডাস্ট্রি, ছিলো রিসোর্স—যেমন পাট। উৎপাদনশীলতার দিক থেকে তুলনা করলে ঢাকা তখন ইংল্যান্ডের সমকক্ষ ছিল। কিন্তু আপনি যদি এখন ঢাকার দিকে তাকান তবে দেখবেন “the Manchester of India, is the capital of Bangladesh—the absolute symbol of disaster”। চমস্কির মতে যারাই ওয়েস্টের দ্বারা শ্বাসিত হয়েছে তার প্রত্যেকেই বর্তমানে একেকটা ধংসস্তুপ আর যারা ওয়েস্টের দ্বারা শ্বাসিত হয় নি তারাই আজকের লিডিং ইকোনমি।
এই বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো আমেরিকা সহ ওয়ার্ল্ড একাডেমিয়ার ডার্ক সাইড নিয়ে তার আলোচনা। বর্তমান স্কুল সিস্টেম গঠন করা হয়েছে এইভাবেই যেন বাচ্চারা স্বাধীন ভাবে চিন্তা না করে একরকম সিস্টেমের দাসে পরিণত হয়। কারন আপনি যদি স্কুল সিস্টেম এনালাইস করেন তাহলে দেখবেন একটা বাচ্চা যদি কোন সাবজেক্টে সি গ্রেড পায় তবে এটা অথরিটির জন্যে কোন মাথাব্যাথার বিষয় না। কিন্তু ওই বাচ্চাটাই যদি তিন মিনিট দেরি করে স্কুলে আসে তবে তাকে প্রিন্সিপালের অফিসে ডেকে শাসানো হবে।
একাডেমিয়াতে স্বাধীন চিন্তা ভাবনা কে কিভাবে দমিয়ে রাখা হয় তা উল্লেখ করে চমস্কি একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ১৯৮৪ তে Joan Peters নামের একব্যাক্তির লেখা From Time Immemorial একটি বই বের হয়। সামগ্রিকভাবে এই বইয়ের সারাংশ ছিল এই যে, ফিলিস্তিনিরা প্যালেস্টাইন বা ইসরাইলের আদি বাসিন্দা নয়, তারা হচ্ছে ইমিগ্রান্ট। বইটি ওই সময় আমেরিকাতে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেঃ Washington Post, New York Times থেকে শুরু করে সব জায়গায় পজেটিভ রিভিউয়ের ছড়াছড়ি। অর্থাৎ, সবার মরাল এক্সসেপ্টেশান ছিল এই যে ইসরাইলিরা চাইলে ফিলিস্তিনিদের তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু সমস্যা বাধালো Norman Finkelstein নামের প্রিন্সটনের এক গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট। সে বইটা পড়লো এবং রেফারেন্স খুজতে গিয়ে দেখলো পুরো বইটাই একটা ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। সে এটা নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখলো এবং জার্নালে সাবমিট করা শুরু করলো। যদিও লিডিং জার্নাল গুলো তার এই আর্টিকেল সাবমিশানে কোন রেসপন্স করেনি এবং করার কথাও না, কিন্তু ইলিয়নসের একটা বামপন্থি জার্নাল তার আর্টিকেল প্রকাশ করলো। এটা ছিল তার জীবনের একটা মারাত্মক ভুল। এই আর্টিকেল প্রকাশের পর তার ডিপার্টমেন্টের প্রফেসরররা তার সাথে মিটিং এর স্কেডিউল নেয়া এমনকি কথা বলাও ছেড়ে দিল। Finkelstein তার প্রোগ্রাম কুইট করলো এমনকি ডিপার্টমেন্ট পর্যন্ত চেঞ্জ করতে বাধ্য হলো।
এই বই পড়ে কেউ যে ওয়েস্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে দিবে বা আমি নিজেই যে আবেগে আপ্লুত হয়ে গেছি এমন না। তবে বইটাতে ফ্যাক্ট আর ইনফরমেশান যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, Freedom of speech, Automation, Abortion, Free Trade, International war, ইকোনমিক্স থেকে পলিটিক্স, তাবৎ দুনিয়ার অতীত থেকে ভবিষ্যৎ মাত্র ৪১৬ পেইজে যেভাবে নিয়ে আসা হয়েছে সেটি অসাধারন। আসলেই ক্ষমতাকে বুঝতে হলে আপনার এই বইটি পড়া উচিত।
তার “Understanding Power” বইটা পড়লাম, ২০০১ সালে প্রকাশিত ৪১৬ পৃষ্টার এই বইটি বিভিন্ন টকশোতে দেয়া তার বক্তব্যের একটি সংকলন। সবচেয়ে আশ্চর্য্যের বিষয়টি হলো, এই বইতে তিনি বলেছেন পাবলিক স্পিকিং ও টকশোর জন্য তার স্কেজিউল আগামী দুই বছরের জন্য বুকড। সেই সঙ্গে বুঝতে পারলাম কেন এই ব্যাক্তি আমেরিকায় বসবাস করে একসময় আমেরিকার মতো শক্তিশালী একটি দেশের প্রেসিডেন্টের এনিমিলিস্টের উপরের দিকে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
যাই হোক, বইয়ের শুরুতেই চমস্কি সমালোচনা করেছেন গনতন্ত্রের নামে আমেরিকার আগ্রাসনকে এবং মার্কিন মূলুকের মানুষদের বোকা বানিয়ে রাখা (তার মতে) মেইন্সট্রিম মিডিয়াকে। তিনি বলেছেন, সাধারনত যেকোন দেশ, জাতি বা গোত্র কোন অসৎ উদ্দ্যেশ্য সাধনের জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসীর কোন একক ব্যাক্তি বা দলকে ভাড়া করে কিন্তু আমরা এতই বিত্তশালী যে আমরা এইসব কাজের জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে (তিনি ইসরাইল কে ইঙ্গিত করেছেন) ব্যাবহার করি। এক মহিলা রিপোর্টার চমস্কিকে প্রশ্ন করেছিলেন সত্য প্রকাশে মিডিয়ার কাছে আদর্শগত বাধা কোন জায়গায়? এর জবাবে তিনি বলেন, আমি Boston Globe-এর এডিটরকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনারা ইসরাইল/ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বকে এত খারাপ ভাবে উপস্থাপন করেন কেন? উত্তরে ঐ এডিটর হাসলেন এবং বললেন, আমরা এটা করি কারন আমাদের কোন আরব এডভারটাইজার নাই।
চমস্কির মতে বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিসরে মানুষকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দুইটা জিনিস নিয়ে ভাবা উচিত তা হলো, এক. আন্তর্জাতিক অর্থনীতির পরিবর্তন এবং দুই. পরিবেশের উপর হুমকি। পুঁজিবাদ যেভাবে কাজ করে সেটা একটা সেলফ ডেস্ট্রাকশান মেথড। এই সিস্টেমের প্রকৃতি হ'ল লোভ দ্বারা চালিত হওয়া; কারও পক্ষে কারও জন্যই উদ্বিগ্ন হওয়ার কি���ু নেই। পুঁজিবাদের চিন্তা ভাবনা হচ্ছে “Maximizing sort-term profit without concern for the long-term effect”, যেখানে প্রত্যেকটা এনটিটি হচ্ছে একেকটা লিথাল ওয়েপন। তাই আর যাইহোক পুজিবাদ দিয়ে পরিবেশকে বাচানো সম্ভব না। পরিবেশকে বাচানোর একটাই উপায় আর তা হলো সম্মিলিত সামাজিক পরিকল্পনা।
তাকে প্রশ্ন করা হয় এই যুদ্ধাস্ত্র প্রতিযোগিতার উদ্দ্যেশ্য কি? তিনি বলেন মনে রাখবেন একটি দেশের প্রাথমিক শত্রু হচ্ছে তার নিজের জনগন। যদি একবার আপনার নিজের দেশের মধ্যে পলিটিক্স ছড়িয়ে পড়ে তাহলে এটি একটি ম্যাসাকারে রূপ নিবে এবং জনগনকে বাধ্য রাখার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো International Conflict, যার মাধ্যমে জনগন ভয়ে তটস্থ থাকবে ও নিজের অধিকার ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। এই যুদ্ধাস্ত্র প্রতিযোগিতা একটি দেশের অর্থনীতিকে সঠিক ভাবে চালানোর জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এই অসম প্রতিযোগিতার কারনেই হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে ভর্তুকি প্রদান সম্ভব হয়। যেমন, কোন পলটিশিয়ান যদি বলেন, আগামী বছর থেকে আপনারা বেশি ট্যাক্স পে করবেন যাতে আমরা IBM-কে একটি পঞ্চমপ্রজন্মের কম্পিউটার ও NASA-কে মঙ্গল অভিজানের জন্য ভর্তুকি দিতে পারি। দেশের কোন নাগরিকই এর সাথে একমত হবে না। কিন্তু আপনি যদি এইখানে International threat-কে নিয়ে আসেন তবে দেশের নাগরিকেরা তা মানতে বাধ্য।
আমি “Free Market”-এর একজন সাপোর্টার কিন্তু চমস্কি এই Free Market সম্পর্কে আমার ধারনা পালটে দিয়েছেন। তার মতে এটি আমেরিকার সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র, কারণ এটি সামাজিক ব্যয়ের বিরুদ্ধে একটি যুক্তি, এবং এটি বিদেশের দরিদ্র মানুষের বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র, কারণ আমরা অন্য দেশকে বলতে পারি "তোমাদের আমাদের প্রদান করা বিধিগুলি মেনে চলতে হবে," এবং যখনই তারা তা মানতে শুরু করে আমরা তাদের লুঠ করতে শুরু করি। চমস্কি উদাহরন দিয়েছেন ঢাকা কে —রবার্ট ক্লাইভ যখন ঢাকায় আসেন, তিনি ঢাকাকে তুলনা করেন “the Manchester of India” হিসেবে। কারন তখন ঢাকা ছিল ধনসম্পদে পরিপূর্ণ, লোকে লোকারণ্য। ঢাকায় তুলা চাষ হতো, ছিল তখনকার সময়ের অত্যাধুনিক ইন্ডাস্ট্রি, ছিলো রিসোর্স—যেমন পাট। উৎপাদনশীলতার দিক থেকে তুলনা করলে ঢাকা তখন ইংল্যান্ডের সমকক্ষ ছিল। কিন্তু আপনি যদি এখন ঢাকার দিকে তাকান তবে দেখবেন “the Manchester of India, is the capital of Bangladesh—the absolute symbol of disaster”। চমস্কির মতে যারাই ওয়েস্টের দ্বারা শ্বাসিত হয়েছে তার প্রত্যেকেই বর্তমানে একেকটা ধংসস্তুপ আর যারা ওয়েস্টের দ্বারা শ্বাসিত হয় নি তারাই আজকের লিডিং ইকোনমি।
এই বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হলো আমেরিকা সহ ওয়ার্ল্ড একাডেমিয়ার ডার্ক সাইড নিয়ে তার আলোচনা। বর্তমান স্কুল সিস্টেম গঠন করা হয়েছে এইভাবেই যেন বাচ্চারা স্বাধীন ভাবে চিন্তা না করে একরকম সিস্টেমের দাসে পরিণত হয়। কারন আপনি যদি স্কুল সিস্টেম এনালাইস করেন তাহলে দেখবেন একটা বাচ্চা যদি কোন সাবজেক্টে সি গ্রেড পায় তবে এটা অথরিটির জন্যে কোন মাথাব্যাথার বিষয় না। কিন্তু ওই বাচ্চাটাই যদি তিন মিনিট দেরি করে স্কুলে আসে তবে তাকে প্রিন্সিপালের অফিসে ডেকে শাসানো হবে।
একাডেমিয়াতে স্বাধীন চিন্তা ভাবনা কে কিভাবে দমিয়ে রাখা হয় তা উল্লেখ করে চমস্কি একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ১৯৮৪ তে Joan Peters নামের একব্যাক্তির লেখা From Time Immemorial একটি বই বের হয়। সামগ্রিকভাবে এই বইয়ের সারাংশ ছিল এই যে, ফিলিস্তিনিরা প্যালেস্টাইন বা ইসরাইলের আদি বাসিন্দা নয়, তারা হচ্ছে ইমিগ্রান্ট। বইটি ওই সময় আমেরিকাতে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেঃ Washington Post, New York Times থেকে শুরু করে সব জায়গায় পজেটিভ রিভিউয়ের ছড়াছড়ি। অর্থাৎ, সবার মরাল এক্সসেপ্টেশান ছিল এই যে ইসরাইলিরা চাইলে ফিলিস্তিনিদের তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু সমস্যা বাধালো Norman Finkelstein নামের প্রিন্সটনের এক গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট। সে বইটা পড়লো এবং রেফারেন্স খুজতে গিয়ে দেখলো পুরো বইটাই একটা ধাপ্পাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। সে এটা নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখলো এবং জার্নালে সাবমিট করা শুরু করলো। যদিও লিডিং জার্নাল গুলো তার এই আর্টিকেল সাবমিশানে কোন রেসপন্স করেনি এবং করার কথাও না, কিন্তু ইলিয়নসের একটা বামপন্থি জার্নাল তার আর্টিকেল প্রকাশ করলো। এটা ছিল তার জীবনের একটা মারাত্মক ভুল। এই আর্টিকেল প্রকাশের পর তার ডিপার্টমেন্টের প্রফেসরররা তার সাথে মিটিং এর স্কেডিউল নেয়া এমনকি কথা বলাও ছেড়ে দিল। Finkelstein তার প্রোগ্রাম কুইট করলো এমনকি ডিপার্টমেন্ট পর্যন্ত চেঞ্জ করতে বাধ্য হলো।
এই বই পড়ে কেউ যে ওয়েস্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে দিবে বা আমি নিজেই যে আবেগে আপ্লুত হয়ে গেছি এমন না। তবে বইটাতে ফ্যাক্ট আর ইনফরমেশান যে ভাবে তুলে ধরা হয়েছে, Freedom of speech, Automation, Abortion, Free Trade, International war, ইকোনমিক্স থেকে পলিটিক্স, তাবৎ দুনিয়ার অতীত থেকে ভবিষ্যৎ মাত্র ৪১৬ পেইজে যেভাবে নিয়ে আসা হয়েছে সেটি অসাধারন। আসলেই ক্ষমতাকে বুঝতে হলে আপনার এই বইটি পড়া উচিত।
Sign into Goodreads to see if any of your friends have read
Understanding Power.
Sign In »
Reading Progress
July 16, 2020
– Shelved
July 16, 2020
– Shelved as:
to-read
December 8, 2020
–
Started Reading
December 8, 2020
–
30.0%
December 10, 2020
–
45.0%
December 16, 2020
–
65.0%
December 24, 2020
–
Finished Reading
December 28, 2020
– Shelved as:
i-will-read-again
December 28, 2020
– Shelved as:
non-fiction
Comments Showing 1-1 of 1 (1 new)
date
newest »
![Down arrow](https://cdn.statically.io/img/s.gr-assets.com/assets/down_arrow-1e1fa5642066c151f5e0136233fce98a.gif)
message 1:
by
Palash
(new)
Jun 24, 2021 01:21PM
![Palash Ray](https://cdn.statically.io/img/images.gr-assets.com/users/1624566248p1/38970519.jpg)
reply
|
flag